প্রকল্পসমূহ

১. সেকেন্ডারি এডুকেশন সেক্টর ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট (এসইএসডিপি)

মাধ্যমিক শিক্ষার সার্বিক উন্নয়নের লক্ষ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক গৃহীত অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ হচ্ছে সেকেন্ডারি এডুকেশন সেক্টর ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট (এসইএসডিপি)। এ প্রকল্পের আওতায় মাধ্যমিক শিক্ষা খাতের ব্যবস্থাপনা সংস্কার, বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন, কারিকুলাম উন্নয়ন, পরীক্ষা ও মূল্যায়ন ব্যবস্থার উন্নয়নের লক্ষ্যে বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়িত হচ্ছে। এ ছাড়া প্রকল্পের আওতায় মাদ্রাসা শিক্ষার উন্নয়ন, পাইলটিং অব ই-লার্নিং, সুবিধাবঞ্চিত এলাকায় নতুন বিদ্যালয় স্থাপন, মাঠ পর্যায়ে অবকাঠামো উন্নয়ন, দারিদ্রে্যর ভিত্তিতে উপবৃত্তি বিতরণসহ নানা কর্মসূচি বাস্তবায়িত হচ্ছে।

 

এসইএসডিপি’র বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যে মাধ্যমিক স্তরে পরীক্ষা পদ্ধতির সংস্কার, বিদ্যালয় ভিত্তিক মূল্যায়ন (SBA)ও কৃতিভিত্তিক ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি(PBM)অন্যতম। এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় সৃজনশীল প্রশ্নপদ্ধতি চালুকরণের ফলে মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষণ-শেখানো পরিবেশে ব্যাপক ইতিবাচক পরিবর্তন সূচিত হয়েছে। নতুন পদ্ধতিতে শিক্ষার্থীদের সৃজনশীল প্রতিভা তথা জ্ঞান, অনুধাবন, বিশেলষণ ও মূল্যায়ন ক্ষমতা সঠিকভবে বিকশিত হবে বলে প্রত্যাশা করা যায়। এসইএসডিপি’র আওতায় সৃজনশীল পদ্ধতি চালুকরণের লক্ষ্যে প্রশিক্ষণসহ যাবতীয় কর্মকান্ড বাস্তবায়িত হচ্ছে। ইতোমধ্যে সারাদেশে প্রায় ৩,৫০,০০০ শিক্ষককে এ বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে। দিনাজপুর জেলার ৮৭৭৫ জন শিক্ষকের মধ্যে ৫৩৭৫ জন শিক্ষককে এ প্রশিক্ষনের আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে।

 

সনাতন পদ্ধতিতে বিরাজমান বিদ্যালয় ভিত্তিক মূল্যায়নের সীমাবদ্ধতা দূরীকরণের লক্ষ্যে জানুয়ারি, ২০০৬ সাল হতে দেশের সকল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৬ষ্ঠ হতে ৯ম শ্রেণী পর্যন্ত বিদ্যালয়ভিত্তিক মূল্যায়নের একটি সাধারণীকৃত পদ্ধতি চালু করা হয়েছে। এ পদ্ধতিতে শিক্ষক ধারাবাহিকভাবে শিক্ষার্থীর শিখনের অগ্রগতি পর্যবেক্ষণে রাখেন, মূল্যায়ন করেন, পাঠগ্রহণে শিক্ষার্থীর দূর্বল দিক চিহ্নিত করে প্রয়োজনীয় পরামর্শ প্রদান করেন এবং এর রেকর্ড সংরক্ষণ করেন।

 

বিদ্যালয় পর্যায়ে শিখন-শেখানো পরিবেশের উন্নয়নের লক্ষ্যে ২০০৬ সাল হতে কৃতিভিত্তিক ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি বা PBMচালু করা হয়েছে। এই পদ্ধতিতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহ পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা প্রণয়ন করবে এবং মা্যধমিক শিক্ষাক্ষেত্রে জাতীয় লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য প্রতিষ্ঠানে বিদ্যমান দূর্বলতাসমূহ চিহ্নিত করে তা থেকে উত্তরণের প্রচেষ্টা চালাবে। এ পদ্ধতির আওতায় প্রাতিষ্ঠানিক স্ব-মূল্যায়ন ছক বা ISAS ব্যবহার করে প্রতিবছর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের গুণগত অবস্থান নিরূপণ করা সম্ভব হবে। ২০১১ সালের প্রাতিষ্ঠানিক স্ব-মূল্যায়ন অনুযায়ী দিনাজপুর জেলার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের গুণগত অবস্থান বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন  www.emis.gov.bd/www.deodinajpur.gov.bd

 

টিচিং কোয়ালিটি ইমপ্রুভমেন্ট ইন সেকেন্ডারী এডুকেশন প্রজেক্ট

টি কিউ আই প্রকল্পের লক্ষ হলো বাংলাদেশে মাধ্যমিক বিদ্যালয়সমূহের শিক্ষার গুণগতমান উন্নয়ন করাআমাদের উদ্দেশ্য হলো শিক্ষকদেরকে (১)মানসম্মন্ন প্রারম্ভিক ও ইন-সার্ভিস প্রশিক্ষণ প্রদান, পেশাগত মান উন্নয়নসুবিধা সমূহ যা শ্রেণী কক্ষে শিখনের উন্নয়ন ঘটাবে

মূল সহযোগী ও স্টেটকহোল্ডারদের সঙ্গে আমরা শিক্ষা ও শিক্ষাদানেরবিভিন্ন বিষয়ে বাংলাদেশের শিক্ষক শিক্ষার উন্নয়নের লক্ষে কাজকরছি।মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)www.dshe.gov.bd ,সহ শিক্ষা সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানসমূহ শক্তিশালীকরণ, বেসরকারী শিক্ষকনিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠা করা ও ব্যানবেইজকে সহায়তা দানেরমাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ করা আমাদের কর্মকান্ডের অন্তর্ভুক্ত।প্রশিক্ষণ টি কিউ আই এর কার্যকক্রমের একটি অপরিহার্য অংশ।

টি কিউ আই কি করে? ব্যাপক প্রশিক্ষণ ও পেশাগত দক্ষতা উন্নয়নেরকার্যকক্রম চলছে ও প্রকল্পের মেয়াদকালে চলবে। অংশগ্রহণকারীদের মধ্যেরয়েছে যারা শিক্ষক হইতে ইচ্ছুক, কর্মরত শিক্ষক,প্রতিষ্ঠানের প্রধান ওপ্রশাসক, স্কুল ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য ও অন্যান্য যারা শিক্ষারসরবরাহের সঙ্গে জড়িত। আন্তর্জাতিক প্রশিক্ষণের মাধ্যমে ৮০০ এর বেশীশিক্ষক, প্রশিক্ষক, শিক্ষক ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাগণ তাদেরশিক্ষাগত যোগ্যতা উন্নত করার সুযোগ আনবেন।

কার্যকরশিক্ষার জন্য শিখন বান্ধব, নিরাপদ ও আন্তরিক পরিবেশে সৃষ্টিকরা অন্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এর মধ্য রয়েছে প্রতিবন্ধি ছাত্র-ছাত্রীদেরজন্য স্কুলে আসার সুযোগ, ছাত্রীদের ও মহিলা শিক্ষকদের প্রয়োজনের প্রতিবিশেষভাবে লক্ষ রাখা এবং ভৌগলিক অবস্থান, গোত্র এবং নারী ও পুরুষনির্বিশেষে সবার জন্য সমান শিক্ষার সুযোগ তৈরী করা । আমাদের কাজের একটি অংশহলো সচেতনতা বৃদ্ধি, অভিভাবক ও সর্বসাধারণের অংশগ্রহণের মাধ্যমেছাত্র-ছাত্রীদের জন্য মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করা। একটি উচ্চাভিলাসিঅবকাঠামো উন্নয়নের মাধ্যমে শিক্ষক প্রশিক্ষণ সুবিধা বৃদ্ধি এবং গ্রামীণরিসোর্স সেন্টার নির্মাণের কাজ চলছে।

গুণগতমান আমাদের কার্যক্রম ও কর্মকান্ডের জন্য অগ্রগণ্য এবং এটা আমাদের প্রয়োজনীয় তথ্য ও উপাত্ত সংগ্রহের ভিত্তিতে ('Quality Assurance Framework') প্রতিষ্ঠার অঙ্গিকারের মাধ্যমে প্রতিফলিত হয়েছে।